NUCLEAR FISSION AND NUCLEAR FUSION

NUCLEAR FISSION  AND  NUCLEAR FUSION


 নিউক্লিয় বিভাজন

(NUCLEAR FISSION)

  যে নিউক্লিয়  বিক্রিয়ায় কোন ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস দুটি প্রায় সমান ভরের টুকরোয় বিভক্ত হয় এবং সেই সঙ্গে কয়েকটি নিউট্রন এবং প্রচুর পরিমাণ নিউক্লিয় শক্তি নির্গত হয় তাকে নিউক্লিয় বিভাজন বিক্রিয়া বলা হয়। 

সাধারণ বিঘাটনের  তুলনায় নিউক্লিয় বিভাজনে অনেক গুণ বেশি শক্তি নির্গত হয়। মূূল নিউক্লিয়াসের ভর বিভাজনের ফলে সৃষ্ট দুটি নতুন নিউক্লিয়াসের যুক্ত ভর অপেক্ষা কিছুটা বেশি হয়। এই ভর আইনস্টাইনের  E=m c^2 সমীকরণ অনুযায়ী শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ইউরেনিয়ামের 235 ভরসংখ্যা বিশিষ্ট আইসোটোপ সহজে বিভাজনে সক্ষম। নিউট্রনকে আঘাত করলে আঘাতকারী নিউট্রন কনা ইউরেনিয়াম নিউক্লিয়াসে ঢুকে নিউক্লিয়াসের গঠনে তীব্র আলোড়ণ সৃষ্টি করে ।ফলে নিউক্লিয়াসগুলি প্রায় সমান ভর বিশিষ্ট দুটি টুকরোতে ভেঙে পড়ে ।এইরূপ বিভাজনকে নিম্নলিখিত সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করা যায়।

এই বিক্রিয়া থেকে দেখা যায় যে একটি নিউক্লিয়াস বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি নিউট্রন নির্গত হয় ।এই নির্গত নিউট্রনগুলি  পার্শ্ববর্তী  ইউরেনিয়ামের পরমাণুকে বিভাজিত করে ।এইভাবে প্রক্রিয়াটি শৃঙ্খলের  আকারে চলতে থাকায় অতি অল্প সময়ে বিভাজিত নিউক্লিয়াসের সংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায় এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয় ।
পারমানবিক বোমা, নিউক্লীয় চুল্লিতে নিউক্লীয় বিভাজনের নীতি প্রয়োগ করে শক্তি উৎপন্ন করা হয়


নিউক্লিয় সংযোজন

(NUCLEAR FUSION)

 যে নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় কয়েকটি হালকা পারমাণবিক নিউক্লিয়ার সংযোজিত হয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী নিউক্লিয়াস গঠন করে এবং সেই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ নিউক্লিয় শক্তির নির্গমন ঘটে তাকে নিউক্লিয় সংযোজন বলে ।

সাধারণভাবে সংযোজন বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে চারটি প্রোটন সংযুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম কেন্দ্র ও দুটি পজিট্রন  উৎপন্ন করে ।এই বিক্রিয়া কয়েকটি ধাপে ঘটে এবং এর ফলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়।

.

সাধারণ হাইড্রোজেন পরমাণুগুলির সংযোজনের হার ও সম্ভবনা কম,কিন্তু এর ভারী আইসোটোপগুলির সংযোজিত হওয়ার হার ও উৎপন্ন শক্তি বেশি হয় দেখা যায় এই বিক্রিয়ার ফলে কম ভর ক্ষয় থেকে অনেক বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কেন্দ্র সংযোজনের জন্য নিউক্লিয়াসকে খুব বেশি তাপমাত্রায়  উত্তপ্ত করার প্রয়োজন হয় ।এই উচ্চ তাপমাত্রা নিউক্লিয় বিভাজন ঘটিয়ে সৃষ্টি করা সম্ভব তাই সংযোজন এর পূর্বে বিভাজন ঘটানো হয় ।সূর্য ও নক্ষত্রে এই বিক্রিয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় এই পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করা হয় ।

Previous
Next Post »